ছবি সংগৃহীত
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কলার আইডেন্টিফিকেশন অ্যাপ হলো ট্রু কলার। ট্রু কলারের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই সেভ না করা নাম্বার থেকে কল এলে সেই নম্বর ব্যবহারকারীর নাম জানতে পারে। এতে করে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলেও আমরা কল রিসিভ করার আগেই জানতে পারি কে কল দিয়েছে। ট্রু কলার তাদের অ্যাপে নতুন ফিচার সংযোজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ট্রু কলার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি উন্নত করে তুলছে।
ট্রু কলার বেশ কয়েক বছর আগেই তাদের অ্যাপে ব্যবহারকারীদের জন্য কল রেকর্ডিং এর সুবিধা নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু ২০২২ সালে গুগল তাদের API পলিসি নিয়ে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ট্রু কলার অ্যাপটি কল রেকর্ড করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এজন্য ট্রুকলার এই সুবিধাটি তাদের অ্যাপ থেকে তুলে নিয়েছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তাদের ট্রু কলারের iOS এবং এন্ড্রয়েড দুইটি অ্যাপ এই কল রেকর্ডিং এর সুবিধা নিয়ে এসেছে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ট্রুকলার কল রেকর্ডিং ফিচার কী?
ফিচার এর নাম দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় এর কাজ মূলত আমাদের ফোনের কল রেকর্ড করে পরবর্তীতে শোনার জন্য রেখে দেওয়া। বর্তমান বাজারের অনেক স্মার্টফোনেই অটোমেটিক বিল্ট ইন কল রেকর্ড করার ক্ষমতা নেই। এজন্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কল রেকর্ড করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ নামিয়ে কল রেকর্ড করে থাকতেন।
তবে পলিসি পরিবর্তনের কারণে সেসব অ্যাপ এখন আর প্লে স্টোরে নেই। ট্রু কলার ব্যবহার করে যেহেতু কলারের আইডি সম্পর্কে আগে থেকে জানা যায় তাই যারা অ্যাপটি ব্যবহার করেন তাদের জন্য নতুন আরো একটি অ্যাপ ইন্সটল করে কল রেকর্ড করা ঝামেলাযুক্ত। তাই ট্রু কলারে কল রেকর্ডিং এর মাধ্যমে এক অ্যাপ এর মাধ্যমেই দুইটি কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় বিধায় এটি দ্বারা কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয় না। ট্রু কলার সম্প্রতি তাদের এন্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপে কল রেকর্ডিং সুবিধা নতুন করে নিয়ে এসেছে।
iOS এ ট্রু কলার কল রেকর্ডিং
অ্যাপল এর বিধি নিষেধ এর কারণে আইফোনের ক্ষেত্রে এটি একটু কষ্টসাধ্য ৷ কিন্তু ট্রুকলার এ ব্যাপারে উপায় বের করে ফেলেছে। আইফোনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে টু কলার অ্যাপ এ যেয়ে রেকর্ডিং লাইন নাম্বারে ডায়াল করতে হবে এবং কল যোগ করে দুটিকে একত্রে মার্জ করে ফেলতে হবে। এর ফলে কল রেকর্ড হওয়া শুরু হবে এবং কল শেষ হবার পরে আপনাকে একটা ফাইল দেওয়া হবে যেটাতে কল রেকর্ডিং সেভ করা থাকবে। আউটগোয়িং কলের পাশাপাশি ইনকামিং কলের ক্ষেত্রেও একই উপায়ে আইফোনে কল রেকর্ডিং করা সম্ভব।
এন্ড্রয়েডে ট্রুকলার কল রেকর্ডিং
এন্ড্রয়েডে কল রেকর্ডিং করা তুলনামূলক অনেক সহজ। কারণ কল রেকর্ডিং বাটন ট্রু কলার ডায়ালারেই উপস্থিত থাকে। কিন্তু যদি অন্য ডায়ালারের মাধ্যমে কল দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কল রেকর্ড করার জন্য একটি ভাসমান বাটন পাওয়া যাবে যার মাধ্যমে খুব সহজেই কল রেকর্ডিং করা সম্ভব।
ট্রু কলার কল রেকর্ডিং ফিচার কিভাবে পাওয়া যাবে?
ট্রু কলার কল রেকর্ডিং ফিচারটি শুরুতে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য রিলিজ করা হয়েছে। কিন্তু খুব দ্রুত এটি বিশ্বের সব জায়গা থেকেই ব্যবহার করা যাবে। ট্রু কলার যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি সাবস্ক্রিপশন প্লান চালু করেছে। সেগুলো হলো ব্যাসিক এড ফ্রি প্লান ( প্রতি মাসে ১ ডলার), প্রিমিয়াম প্লান উইথ কল রেকর্ডিং (৩.৯৯ ডলার প্রতি মাসে), টপ টিয়ার প্লান উইথ কল স্ক্রিনিং এসিস্ট্যান্ট (প্রতিমাসে ৪.৪৯ ডলার)।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাঝে মাঝে কল রেকর্ডিং এর প্রয়োজন পড়ে থাকে। এছাড়া কলার আইডি শনাক্ত করাও আমাদের প্রয়োজনের তালিকায় শীর্ষ পর্যায়ের স্থান দখল করে আছে। দুইটি ফিচারই যখন মানুষ একই সাথে টু কলার অ্যাপ এ পেয়ে যাচ্ছে তাই ট্রু কলার অ্যাপ এর চাহিদা বাড়ার ব্যাপারে কোম্পানির শীর্ষপর্যায়ের ব্যাক্তিরা আশা করতেই পারেন।