ছবি সংগৃহীত
প্রায় দুই দশকের পথচলায় প্রতিদিনই বাড়ছে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বর্তমান সক্রিয় ব্যবহারকারী দুই বিলিয়ন। যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ।
প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হওয়া এই প্রবৃদ্ধি কোম্পানিটি নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার করতে সাহায্য করেছে। এরইমধ্যে কোম্পানিটি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞাপন বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে চাপের মধ্যে ছিলো। খবর বিবিসির।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে ‘দক্ষতার বছর’ হিসাবে ঘোষণা করার পর মূল কোম্পানি মেটা-এর শেয়ারের দাম বাজারের মূল বাণিজ্য ঘণ্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও পরবর্তীতে ১৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তিনি বলেছিলেন ব্যয় কমানোর দিকে নজর দিচ্ছে ফেসবুক।
‘আমরা এখন একটি ভিন্ন পরিবেশে আছি,’ তিনি ফার্মের মুনাফার দিকে ইঙ্গিত করেন, যা ২০২২ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমেছে। এর আগে কয়েক বছর ধরে ফার্মটির মুনাফার প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকের ঘরেই ছিলো।
‘আমরা মনে করি না যে এটি এভাবে চলতে থাকবে, তবে আমি এটাও মনে করি না যে এটি আগে যেমন ছিল সেই অবস্থায় ফিরে যাবে।’
মেটা, যা ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপেরও মালিক, গত বছর এই কোম্পানিটি একটি বড় পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল। যার মধ্যে ছিল অফিসের জায়গা কমিয়ে আনা এবং ১১ হাজার চাকরি বা প্রায় ১৩% কর্মী ছাটাই করা ছিল।
ফার্মটি বলেছে যে, এই পদক্ষেপগুলির কারণে গত বছর ৪.৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল যা এর মুনাফার ওপর প্রভাব ফেলায় তা অর্ধেকে নেমে আসে। এরপরও সেই বছর ২৩.২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
জাকারবার্গ বলেন, ২০২২ সাল একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। কিন্তু আমি মনে করি আমরা এর শেষের দিকে ভালো অগ্রগতি করেছি।
ডিসেম্বর থেকে আগের তিন মাসে, ফার্মটি বলেছে যে, এটির আয় ছিল ৩২.২ বিলিয়ন ডলার যা এর আগের বছরের তুলনায় ৪% কম।
কোম্পানিটি আরও বলেছে যে, তারা নিজেদের শেয়ার কেনার জন্য অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। গত বছর যার দাম কোম্পানির লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের কারণে ব্যাপকভাবে পড়ে যায়।