প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হারের পর দেশের মাঠে জেগে উঠলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হোম ম্যাচে ড্রয়ের পথেই ছিল দল। কিন্তু ইনজুরি সময়ে এসে সর্বনাশ। ০-১ গোলে হেরে গেল জামাল ভূঁইয়ার দল।
মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনায় গোলশূন্য ড্র-য়ে পথে ম্যাচ এগিয়ে গেলেও শেষে ভুল করল বাংলাদেশ। তীরে এসে যেন তরী ডুবল। ইনজুরি সময়ে (৯৪মিনিট) ফিলিস্তিনের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন মিকাইল তেরমানিনি।
নিশ্চিত প্রশংসার দাবিদার বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফিলিস্তিনের অন্তত অর্ধডজন নিশ্চিত গোলের সুযোগ দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন তিনি।
২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কুয়েতে প্রথম লেগের ম্যাচে বাংলাদেশ ০-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয়। সেই ব্যর্থতা মুছে এবার জয়ের সমান ড্র পেতে যাচ্ছিল জামাল ভূঁইয়ার দল। কিন্তু শেষটাতে এসে সবশেষ! বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিন এশিয়ান ও বিশ্বকাপ যৌথ বাছাইয়ের ম্যাচে তুলে নিল জয়।
রাজধানীর কিংস অ্যারেনায় ছুটির দিনের এই লড়াইয়ে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল গোলশুন্য ড্র। ৮ মিনিট ইনজুরি সময়ের শুরুতে ফিলিস্তিনের আহমেদ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। দশ জনের দল হয়ে যায় ফিলিস্তিন। যেখানে বাংলাদেশ দাপট থাকার কথা, তখনই কীনা রক্ষণভাগের ভুলে ম্যাচটাই হারলো স্বাগতিকরা।
মিকাইল তেরমানিনি বক্সের মধ্যে ছিলেন একেবারে আনমার্কড। গোলরক্ষক মেহেদী শ্রাবণ একটু এগিয়ে থাকায় কোন সুযোগ পাননি আটকানোর। ৮৩ মিনিটে প্রথম গোলরক্ষক মিতুল ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লে নামেন শ্রাবণ।
তারপরও প্রশংসা পেতেই পারে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের র্যাংকিং ব্যবধান ৮৬। এতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এভাবে লড়াইটা মন্দ নয়। পাঁচ দিন আগেই কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ০-৫ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই দলকেই প্রায় রুখে দিয়েছিল তারা!