সিলেট টেস্টে বাংলাদেশকে অনেকক্ষণই জিইয়ে রেখেছিলেন মুমিনুল ইসলাম। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় সেশনে ১৮২ রানে অল আউট হলো বাংলাদেশ। যার ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টটি টাইগাররা হেরেছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
চতুর্থ দিন সকালে প্রথম ঘণ্টায় ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। দিনের প্রথম দুই ওভারে অবশ্য তাইজুলকে স্ট্রাইক দেননি মুমিনুল। তৃতীয় ওভারে ব্যাটিং পেয়ে কাসুন রাজিথার করা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তাইজুল। ফেরার আগে অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি, লাভ হয়নি তাতে।
পঞ্চাশ রান স্পর্শ করেই ছয় উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মুমিনুল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা জুটি গড়েন ৬৬ রানের। দলীয় ১১৭ রানে ছয়টি চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন মিরাজ। কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন।
প্রথম সেশনে বাকি সময়টা শরিফুল ইসলামকে নিয়ে পার করেন মুমিনুল। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজন। এর মাঝে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন টেস্ট বিশেষজ্ঞ এই ব্যাটার।
হাফ সেঞ্চুরির পর ব্যাট তুলতেও দেখা যায়নি মুমিনুলকে। তার সঙ্গে শরিফুলের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন কাসুন রাজিথা। ৪২ বলে ১২ রান করে রাজিথাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শরিফুল। উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হলেন খালেদ আহমেদ। এই পেসারকে ফেরানোর মাধ্যমে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন লঙ্কান এই পেসার। ৪৯.২ ওভারে নাহিদ রানার উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। ১৪৮ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে ২৮০ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ করে ১৮৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। শ্রীলঙ্কা করে ৪১৮ রান, বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রানের। রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তৃতীয় দিন বিকেলেই ৪৭ রান তুলতে পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।