ঢাকা,  মঙ্গলবার  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব

নিউজজার্নাল২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২০ মার্চ ২০২৪

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব

ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) বলেছে, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল। যার প্রতিফলন শিগগিরই শেয়ারবাজারে পড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় সাত প্রস্তাব উত্থাপন করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে সা¤প্রতিক শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল সভায় দেশের শীর্ষ ত্রিশ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময়কালে এই দাবি উত্থাপন করা হয়।

আলোচনা সভায় শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব তুলে ধরে ডিবিএর প্রতিনিধিরা জানান, শেয়ার দামে পুনরায় ফোর প্রাইস আরোপ করার যে গুজবটি বাজারে রয়েছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন।

তারা আরো জানান, ফোর প্রাইসের পূনরাবৃ্ত্িত ঘটবে বলে ডিবিএ আদৌ মনে করে না। বর্তমান মার্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী ও সংস্কার প্রয়োজন।

ডিবিএর প্রতিনিধিরা বলেন, ভাল কোম্পানির আইপিও বাজারে তালিকাভ্ক্তূ করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে সকল প্রকার আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

তারা বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

তাদের মতে কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের উপর না করে তার ক্যাপিটাল সাইজের উপর করাই যৌক্তিক।

ডিবিএর নেতারা আরো বলেন, সাধারণ শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোন উপায়ে কোন কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা সা¤প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা মনে করেন, বাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার মত উলে­খযোগ্য কোন কারন নেই।

তাদের মধ্যে কারো কারো মতে, শেয়ার দরের উপর থেকে ফোর তুলে নিলে এমনিতেই কিছুটা প্রাইস এডজাস্টমেন্ট হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক।

শীর্ষ এই ব্রোকার প্রতিনিধিরা ইঙ্গিত করে বলেন, খুব শিগগির বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে আগামী দিনে বাজারের সার্বিক স্বার্থে উপস্থিতি প্রতিনিধিগণ এসব দাবি তুলেছেন, যা বাস্তবায়নের ফলে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ বোকারেজ কোম্পানিগুলো হলো- লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোং, এমটিবি সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

এনআরিবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, গ্লোব সিকিউরিটিজ, এবি সিকিউরিটিজ, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ইন্ভেস্টমেন্ট, ফার্স ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

পরে ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বৈঠকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করে সভা শেষ করেন। ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বিনোয়গকারীদের কোনরুপ গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দেন এবং বাজারের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানান।

আলোচনা সভায় ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, ডিবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদ রশীদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন