ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে যা ঘটবে আপনার শরীরে

নিউজ জার্নাল২৪

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ৩০ মার্চ ২০২২

দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে যা ঘটবে আপনার শরীরে

অনেকেই গান শুনতে কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করছি। অনেকেই রাস্তার কোলাহল, বাসের হর্নের আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে মারাত্মক ৬ ধরনের তি হতে পারে।

১. হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ১০০ ডেসিবল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২. হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এতে কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া হেডফোনের মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

৩. যে কোনো স্থানে হেডফোন ফেলে রাখবেন না। এতে এয়ারপ্যাড সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যা পরে কানের সংক্রমণে গুরুতর ভূমিকা রাখে।

৪. বেশির ভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাৎ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৫. দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। এ ছাড়া হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শুনবেন না। সর্বোচ্চ ৭০-৮০ ডেসিবেল শব্দে গান শুনতে পারেন। উচ্চশব্দ কানের পর্দায় গিয়ে খুব জোরে আঘাত হানে। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৬. হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেকট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এেেত্র ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।

এছাড়া, গাড়ি, সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চালানোর সময় কানে হেডফোন থাকা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। হেডফোনের ও প্রান্তে গান বাজুক বা না বাজুক, হেডফোন কানে থাকা চলবে না। এমনকি চলন্ত অবস্থায় হেডফোন ব্যবহার করে কারও সঙ্গে মুঠোফোনে কথাও বলা যাবে না। রাস্তা পারাপারের সময় কোনোভাবেই হেডফোন ব্যবহার করবেন না। যদি কানে হেডফোন থাকে তাহলে অবশ্যই ফুটপাথ দিয়ে পথ চলবেন।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন