ঢাকা,  মঙ্গলবার  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ৪ প্রযুক্তির কাজ এখনই শুরু করতে হবে: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ৭ জুলাই ২০২২

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ৪ প্রযুক্তির কাজ এখনই শুরু করতে হবে: জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আমরা চারটি প্রযুক্তির ওপর নজর দিতে চাই। মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি- এই চার প্রযুক্তির বিকাশ ও সমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে।


বুধবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের দ্বিতীয় সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নেন্সের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ইন্ডাস্ট্রি, ডিফেন্স টেকনোলজি, এগ্রিকালচারসহ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর প্রত্যেকটা সেক্টর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক্স নির্ভর হবে। তাই নিজেদের সমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববাজারে রপ্তানি ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এখন থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ করতে হবে।

দেশ এবং বিশ্বের প্রয়োজন মেটাতে মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়্যাল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হতে কাজ শুরু করেছে উলে­খ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনে অন্যান্য দেশকে ধরতে বাংলাদেশের একটু সময় লাগলেও বাকি তিনটিতে আমরা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম।

উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যে প্রযুক্তি আমাদের দেশের জন্য এবং বিশ্বের জন্য দরকার হবে সেখানে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, মাইক্রোপ্রসেসিং ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বর্তমানে সারা বিশ্ব ২-৩টি দেশের ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যত ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য সব কিছুতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কিছু না কিছু চলে আসছে। বর্তমানে আমাদের অন্য দেশ থেকেই এই প্রযুক্তি আনতে হচ্ছে। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে সবেেত্রই রোবটিকসের ব্যবহার হবে। ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা, কৃষি সব ক্ষেত্রেই রোবট শ্রমবাজার টেক ওভার করবে। তাই আমরা যদি নিজেদের রোবটিক প্রযুক্তি উন্নত করতে পারি, তখন আমাদের অন্যদের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি যেহেতু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও আমাদের দেশে এই চারটি ক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল।

এই নির্ভরশীলতা কাটাতে প্রয়োজনীয় এসব প্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, আইওটি ও রোবটিকসে অন্যান্য দেশ খুব একটা এগিয়ে যেতে পারেনি। এটা নতুন প্রযুক্তি। তাই এটা আমরা সহজেই ধরে ফেলতে পারব। মাইক্রোপ্রসেসরে যেসব দেশ এগিয়ে গেছে, তাদের ধরতে আরও ২০ বছর সময় লাগলেও আমাদের আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। ভবিষ্যতের মাইক্রোপ্রসেসর টেকনোলজিতেও আশা করি আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সভা পরিচালনা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিামন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ভূমিমন্ত্রী সাঈফুজ্জামান চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

এছাড়াও বোর্ড অব গভর্নেন্সের সদস্যরা, বিসিএস, বেসিস ও বাক্কো সভাপতি, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন