যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ ও ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে। তবে বিদেশের সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। এনিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা স¤প্রসারণ করেছেন।
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সংসদ সদস্য বলেন, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন?
তিনি জানান, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংকঋণ আছে।
মন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে ব্যবসার বিপুল স¤প্রসারণের বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, করোনা মহামারি তার জন্য সুযোগ হয়ে আসে। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংকঋণের সুদ কমে যায়। সে সময় তিনি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছেন।
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতিও হয়নি বলে দাবি করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল গঠনের কথা বলেন তিনি। কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।
নিজেকে আগে ব্যবসায়ী পরে রাজনীতিক বলে উলেখ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেবুঝে। কারণ, তার সন্তানদের তখন মালিক হওয়ার মতো বয়স ছিল না। তার বিদেশের সম্পদের পরম্পরা (ট্রেইল আছে) আছে। সুতরাং, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেই।