ছবি সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফল শুধু কাঁচাই নয়, আরও অনেক রকমভাবে খাওয়া যায়। যা খেতেও সুস্বাদু। আবার উপকারীও বটে।
ফল (Fruit) আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী (Healthy), তা আলাদা করে বলে দেওয়ার নেই। স্বাস্থ্যের নানা এবং একাধিক উপকার করে। এতে থাকা উপকারী উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অনেক রোগ দূরে রাখে। আপেল থেকে কলা কিংবা অন্য যেকোনও ফলই স্বাস্থ্যের একাধিক উপকারে লাগে। কিন্তু অনেকেই ফল খেতে পছন্দ করেন না। এর একটা অন্যতম কারণ হিসেবে শোনা যায়, কাঁচা খেতে হয় বলে ফল তাঁদের খেতে ভালো লাগে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফল শুধু কাঁচাই নয়, আরও অনেক রকমভাবে খাওয়া যায়। যা খেতেও সুস্বাদু। আবার উপকারীও বটে।
কাঁচা ছাড়াও ফল কীভাবে খাবেন?
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফল কেটে তা দই কিংবা ঘন দুধের সঙ্গে খেতে পারেন। প্রথমে ফল ছোট ছোট করে টুকরো করে নিন। তারপর তার সঙ্গে দই কিংবা ঘন দুধ মেশান। সঙ্গে মধুও মেশাতে পারেন। এবার এই মিশ্রণকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। তারপর তা বের করে খান। যেমন সুস্বাদু তেমনই উপকারী। আম থেকে আঙুর, কলা কিংবা পেঁপের মতো ফল এভাবে খেতে পারেন। ছোট থেকে বড় সকলেই পছন্দ করবে।
২. ফল দিয়ে অনেক রেসিপি তৈরি করা যায়। যা প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব আনে। সালসা থেকে পিজ্জার মতো খাবারের উপরেও ফলের টুকরো দিতে পারেন। যা খাবারের স্বাদও বাড়ায়।
৩. ব্রেকফাস্টে কর্নফ্লেক্স খাচ্ছেন? তাহলে একবাটি কর্নফ্লেক্সের মধ্যে বেরি নিয়ে নিন। অথবা, দইয়ের মধ্যে পেঁপে, আপেল টুকরো করে মিশিয়ে নিন। এবার খেয়ে দেখুন।
৪. ফল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন।
৫. ফ্রুট স্যালাডের কথা না বললেই নয়। যেকোনও খাবারের সঙ্গে দারুণভাবে জমে যায়। বেক করেও খেতে পারেন ফল।
প্রসঙ্গত, কাজের চাপ বাড়়ছে, দৌড়াদৌড়ি বাড়ছে। ততই পাল্লা দিয়ে কমছে শরীরচর্চা। ভরসা বাড়ছে ফাস্টফুডের উপর। যার ফলে থাবা বসাচ্ছে ওবেসিটি। ওজন কমাতে গেলে ব্যায়ামের পাশাপাশি কড়া নজর দিতে হয় ডায়েটেও। এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁরা ফল এবং সব্জির উপরে জোর দিতে বলেন। ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ালে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তেমনই শরীরের পুষ্টিতেও কোনও ঘাটতি হবে না।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।