ছবি সংগৃহীত
শীতে চারপাশের বাতাসে দূষণ বাড়ার কারণে ফুসফুস ও হৃদরোগের আশঙ্কাও অনেকটা বেড়ে যায়। এই সময় বয়স্ক ও শিশুদের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেকটাই বেড়ে যায়। ফুসফুস বা শ্বাসনালির একাধিক রোগের মধ্যে অন্যতম হল টনসিলাইটিস ও সাইনাস। অল্পেতেই যাদের ঠান্ডা লেগে যায়, শীতে তাদের প্রায়ই এই সমস্যা ভোগ করতে হয়।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান, সাইনাস ও টনসিলাইটিসের সমস্যা রয়েছে যাদের, তাদের শীত পড়ার আগে থেকেই সতর্ক থাকা উচিত। এ ছাড়াও এই সময় নিয়মিত গরম খাবার, গরম পানি ও টাটকা শাকসবজি খাওয়া জরুরি।
চিকিৎসকের কথায়, টনসিলাইটিস ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল দুই ধরনের হয়। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিস হলে গরম পানি ও গরম খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়াও, গ্রিন টি ও স্যুপও খাওয়া যেতে পারে।
একিভাবে ঠান্ডা লাগারও দুইরকম ধরণ আছে। সাধারণ ঠান্ডা আর অ্যালার্জির জন্য ঠান্ডা লাগার মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা এক থেকে ১০ দিন মতো থাকে। অন্যদিকে অ্যালার্জেনের (অ্যালার্জির যে জিনিস থেকে হয়) চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত অ্যালার্জির ঠান্ডা লাগা কমে না। এর জন্য চিকিৎসক অনেক সময় নাসাল স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি গার্গল করে গলার থেকে কফ দূর করার পরামর্শও দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে স্টিমুলেশন ব্যবহারের পরেও নাক থেকে পানি পড়ে। এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে আরেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, হঠাৎ করে গরম বা ঠান্ডা পরলে মানুষের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আক্রান্ত হয়, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতেই আরও সুবিধা পায় বিভিন্ন জীবাণু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো গড়ে তুলতে পারলেই সাইনাস বা টনসিলাইটিসে সহজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।