ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

কারাদণ্ডের কিছুক্ষণের মধ্যেই ড. ইউনূসের জামিন

নিউজজার্নাল২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২ জানুয়ারি ২০২৪

কারাদণ্ডের কিছুক্ষণের মধ্যেই ড. ইউনূসের জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ড. ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। এর আগে চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় দেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৫ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।

এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করে যেসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা বিধি সংশোধন করে সেসব সুবিধা প্রদান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল­াহ আল মামুন ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রায় শুনতে বিশিষ্ট নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীরা আদালতে উপস্থিত হন।

এ মামলায় অন্য আসমিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন