ঢাকা,  রোববার  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কোথাও বেড়েছে, কোথাও কমেছে

মিথিল ফেরদেীস জোছনা

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কোথাও বেড়েছে, কোথাও কমেছে

অনিন্দ্য চৌধুরী, পরিচালক ও সিইও, মেন্টরস’ স্টাডি এব্রোড

সচ্ছল বা মেধাবীরাই কেবল উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন, একসময় এমনটাই ভাবা হতো। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় থেকেই শিক্ষার্থীরা পছন্দের দেশে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরিকল্পনা নিচ্ছে তারা। বৃত্তি ও ফান্ডিংয়ের (তহবিল) সুযোগ বাড়ছে বলে স্নাতক পর্যায় থেকেই অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা শুরু করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে মাস্টার্স বা পিএইচডি করে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন।

দেশের শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তাঁরা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ ও শিক্ষার মানকে বেশ গুরুত্ব দেন, যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের একাডেমিক ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ে। অনেকেই বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ নিচ্ছেন।

করোনার কয়েক বছরে আদতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল কম। পরে কিছু কড়াকড়ি শিথিল হয়েছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই পছন্দের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ গ্রহণের জন্য বেশ পরিশ্রম করছেন। আবার বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চেষ্টা করছেন।

বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সচরাচর ইংরেজিভাষী দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেন। তাই প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পড়তে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সুযোগ বাড়ার কারণে সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কানাডায় সম্প্রতি নিয়মকানুন কিছুটা কঠিন হয়ে যাওয়ার ফলে সংখ্যা কমছে। অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে সব সময়ই শিক্ষার্থীদের সুযোগ অনেক বেশি থাকে, তাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সংখ্যায় থাকে বেশি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে যত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল অষ্টম। তার আগের বছর বাংলাদেশ ছিল ১৩তম। যুক্তরাষ্ট্রে একেক সময় একেক ধারা দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় বোঝাই যাচ্ছে যে নতুন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনের পর কিছু পরিবর্তন আমরা দেখতে পাব। সাম্প্রতিক সময়ে যেমন কিছু বিধিনিষেধ চোখে পড়ছে।

ইংরেজিভাষী দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে অতটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে দেখছি, অনেক শিক্ষার্থী দেশটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ইউরোপের অনেক দেশেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত হারে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানলাম, ইউরোপে পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানকার বেশ কিছু দেশে ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ আছে। তাই সেখানে যেতে তাঁরা আগ্রহী।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন