
ফাইল ছবি
কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে জয়ী হলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি। রবিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফলে এটি নিশ্চিত করা হয়।
দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে কানাডায় একটি টালমাটাল সময়ে কার্নি দায়িত্ব নেবেন। শিগগিরই তার সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
৫৯ বছর বয়সী কার্নি সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন। এই নির্বাচনে দেড় লাখের মত সদস্য ভোট দেন।
গত জানুয়ারিতে ট্রুডো ঘোষণা দেন তিনি পদত্যাগ করবেন। নয় বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর তার গ্রহণযোগ্যতার রেটিং কমে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি নতুন নেতা পাবার জন্য দ্রুত নির্বাচন করতে বাধ্য হলো।
কার্নি যুক্তি দেন, তিনি দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বাণিজ্য আলোচনার তদারকি করার জন্য সবচেয়ে ভালো স্থানে আছেন। ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছেন যা কানাডার রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলতে পারে।
নির্বাচনে কার্নি ছিলেন ফ্রন্ট রানার। তিনি দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে সর্বাধিক সমর্থন পান এবং চার লিবারেল প্রার্থীর মধ্যে সর্বাধিক অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।
কার্নির জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো সত্যিকারের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন কেউ কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন। তিনি বলেন, প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দুটি জি-৭ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কানাডা ও ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকার কারণে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার জন্য তিনিই সবচেয়ে ভালো প্রার্থী।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় কার্নি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ডলার ফর ডলার পাল্টা শুল্ক এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির সমন্বিত কৌশলকে সমর্থন করেন। তিনি বারবার অভিযোগ করেন, ট্রুডোর অধীনে কানাডার প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট ভালো ছিল না।
কার্নির অধীনে লিবারেল পার্টির নতুন শুরুর সম্ভাবনা, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে সংযুক্ত করা সংক্রান্ত ট্রাম্পের উপর্যুপরি বিদ্রুপ লিবারেলদের ভাগ্যের উল্লেখযোগ্য পুনরুজ্জীবন ঘটায়।