
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো খনিজ সম্পদ দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসঙ্গে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি চান না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে সার্বিক সহায়তা দেয়ার বিনিময়ে সম্প্রতি দেশটির মূল্যবান খনিজের ভাগ চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, ট্রাম্পকে তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এমনকি এ বিষয়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরেও তাদের আগ্রহ নেই বলে জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জার্মানির বায়ার্ন অঙ্গরাজ্যের রাজধানী মিউনিখে চলমান ৬১তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে একথা বলেন জেলেনস্কি।
সম্মেলনে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি চুক্তি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, বারবার বলার পরেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অথচ, চলমান সংঘাত বিষয়ে যেকোনো ধরনের চুক্তি তৈরির জন্য এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার দাবি, আদতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি চান না পুতিন। এমনকি, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপেও ইউক্রেনের কেউ প্রতিনিধিত্ব করেননি বলে জানান জেলেনস্কি। ছিলেন না ইইউ’র কোনো নেতাও। এভাবে ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শাসনামলে জার্মানি ও ইইউ-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টিও উঠে আসে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, জার্মানিসহ গোটা ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা জানান অনেকেই। একে ‘অনধিকার চর্চা ও অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ফ্রিডরিশ মের্জ।
একইসঙ্গে, ভ্যান্স ও যুক্তরাষ্ট্রকে জার্মানির বিষয়ে নাক না গলাতে বলেছেন জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক।