
ছবি সংগৃহীত
গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে এবার মোদি সরকারকে সময়সীমা দিয়ে দিলেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। আগামী ১৭ মার্চ অর্থাৎ ৩৩ দিনের মধ্যে সরকার যদি এই ঘোষণা না দেয়, তাহলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
হিন্দু সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণা করা হোক। তবে এতদিন এই দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেন শঙ্করাচার্য।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন,
আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময় দিলাম। এর মধ্যে গোমাতাকে রাষ্ট্রমাতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তা যদি না করা হয়, তাহলে দিল্লির রামলীলা ময়দানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গো প্রতিষ্ঠা নির্ণায়ক দিবস আয়োজন করা হবে। সেখান থেকেই এই দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব। পরবর্তী রণকৌশল এখান থেকেই ঠিক করা হবে।
দীর্ঘ দিন ধরেই এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর গোপাল মণির নামক ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল ‘গো-ক্রান্তি মঞ্চ’।
সেখানে চার শঙ্করাচার্য পীঠের সমর্থনে শুরু হয় এই আন্দোলন। ইতোমধ্যেই এই ইস্যুতে তিনটি গো সংসদ আয়োজিত হয়েছে। ২০২৪ সালে গোবর্ধন থেকে দিল্লি পর্যন্ত এই ইস্যুতে পদযাত্রাও করেন একাধিক হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। যদিও সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি।
অবশেষে এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে সময়সীমা দিয়ে দিলেন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন