ফাইল ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত ছিল একটি "সংকট"। তার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতেন, তাহলে এই যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হতো।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পুতিন বলেন, “আমি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত যে, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন এবং তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া না হতো, তবে ২০২২ সালে ইউক্রেন সংকট দেখা দিত না।”
পুতিন আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল একজন “বুদ্ধিমান” ব্যক্তি নন, বরং একজন “বাস্তববাদী” নেতাও। তিনি জানান, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন সহযোগিতায় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি না করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা সবসময় বলে এসেছি, এবং আবারও বলছি যে ইউক্রেনীয় ইস্যুতে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে “অবৈধ শাসন” বলে অভিহিত করে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা জানায়, “শান্তি আলোচনা নিয়ে কথাবার্তা শোনা গেলেও কিয়েভ এবং পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে এর কোনো বাস্তব প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় জানিয়েছে, ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ছাড়া পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে কোনো শান্তি আলোচনা হতে পারে না।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তি করতেন। তবে তার দায়িত্ব নেওয়ার পরও যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, মস্কো যদি আলোচনার টেবিলে না আসে, তাহলে তিনি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন এবং ইউক্রেনকে আরও বেশি অস্ত্র সরবরাহ করবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে