ছবি সংগৃহীত
সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শেষে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ফেরার পথে পর্যটকবাহী জাহাজ বে-ক্রুজের স্টাফদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফজলে রাব্বি চৌধুরী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। মামলার পর অভিযুক্তদের মাঝে শাকিল নামে বে-ক্রুজ জাহাজের এক স্টাফকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাতে টেকনাফ থানার ওসি মো: আবদুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী চবি অধ্যাপক ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ শেষে বে-ক্রুজ পর্যটকবাহী জাহাজ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৭৬ জন সদস্য দমদমিয়া জেটিঘাটে উদ্দেশ্যে ফিরছিলাম। জাহাজে উঠার পর দেখি ওই জাহাজের স্টাফরা আমাদের টিকিটের আসনে অন্য লোকদের বসিয়েছে। বিষয়টি আমরা জাহাজের সুপারভাইজার লুৎফর রহমান খোকনকে জানালে তিনি উল্টো আমাদের গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, ওই সুপারভাইজার ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের ওপর প্রথম দফা হামলা চালান। এমনকি জাহাজটি দমদমিয়া জেটিঘাটে পৌঁছালে ওই সুপারভাইজারসহ জাহাজে থাকা অন্য স্টাফরা বহিরাগত লোক ডেকে এনে দ্বিতীয় দফা আমাদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ওসি বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে চবির শিক্ষার্থীদের ওপর বে-ক্রুজের স্টাফদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জাহাজের এক স্টাফকে আটক করা হয়েছে।