ঢাকা,  রোববার  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ‘‌মনুমেন্ট প্রজেক্ট’ হাতে নেবে না: অর্থ উপদেষ্টা

নিউজ জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১০:২১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ‘‌মনুমেন্ট প্রজেক্ট’ হাতে নেবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের বড় প্রকল্প হাতে নেবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘আমরা মেগা প্রকল্প এড়ানোর অবস্থানে থাকব। এ ধরনের “‍মনুমেন্ট প্রজেক্ট” দেখতে চমকপ্রদ হলেও কার্যকারিতা বা ব্যবহারিক দিক থেকে উপযোগিতা কম। আমরা প্রকৃতপক্ষে কার্যকর ও প্রভাবশালী প্রকল্পে মনোনিবেশ করব।’

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক ব্যবসায়ী সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘‌বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতিতে নীতি সমন্বয়’ শিরোনামে এ সংলাপের আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)।

সংলাপে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবশ্যই সহায়তা করা হবে। তবে নিশ্চিত করা হবে যে প্রকল্পগুলো যথাযথ ও অপ্রয়োজনীয় লবিং বা বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত নয়। আমরা এডিপি পরিকল্পনাকে পরিমার্জন করব, যেগুলো আমাদের বাস্তবিক পুঁজি গঠন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। বিশেষত স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিছু কৌশল নির্ধারণ করব এবং সম্ভবত এপ্রিলের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়নে বিস্তারিত কাজ শুরু করা যাবে। বাজেট-সংক্রান্ত উদ্যোগ ও সংস্কার যদিও এক নয়, তবে তারা পরস্পর সম্পর্কিত। প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি বাজেট প্রণয়ন এ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিনিময় হার, শুল্ক, কর ও নীতিমালার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখনো পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়নি। তবে সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।’

দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া কিছু সিদ্ধান্তে ভুল বোঝাবুঝি হলেও প্রতিটি সিদ্ধান্তেই সরকারের সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ছয় মাস পেরিয়েছে। এ সময়ে সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে সরকারের উদ্দেশ্য ভালো এবং কোনো খারাপ এজেন্ডা নেই। দায়িত্ব গ্রহণের সময় নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরলেও মূল্যস্ফীতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। এটি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা ব্যাংক ও বেসরকারি খাতে সমস্যা তৈরি করেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

দেশে একক মূসক (ভ্যাট) পদ্ধতি চালু করা দরকার বলে উল্লেখ করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন পণ্যে বিভিন্ন হারে ভ্যাট রয়েছে। একক ভ্যাট পদ্ধতি কার্যকর হলে এটি ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য উপকারী হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এ সময়ের মধ্যে নতুন করে মূসক কমানোর দাবি না তোলার অনুরোধ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন