ফাইল ছবি
দেশের ব্যাংক ও খোলাবাজারে এখনও আমেরিকান ডলার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বৈদেশিক আয় না বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও দিন দিন কমছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি ডলারের সাত টাকা বাড়িয়েও মুদ্রা বাজারের অস্থিরতা খুব একটা কমেনি। বরং এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
গত দুই বছর ধরেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা চলছে। আর এই অস্থিরতা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক নীতি গ্রহণ করলেও তেমন সুফল মেলেনি। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে ২০২২ সালের মার্চ থেকে দফায় দফায় দেশে মার্কিন ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চে সরকারিভাবে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি ডলার ১১৭ টাকায় উঠেছে। ২৫ মাসের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক ছয়-চার শতাংশ।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দর ১১৭ টাকা আর মানি এক্সচেঞ্চে দর ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা। এতে মুদ্রা বাজারের অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন মানি এক্সচেঞ্চ ব্যবসায়ীরা।
ব্যাংকগুলোতেও নির্ধারিত দামে ডলার কিনতে পায় না সাধারণ মানুষ। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ^স্ত করেন নির্ধারিত দরে ডলার মিলবে।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের দর একবারে ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয়ার মুল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়ানো না গেলে ডলার সংকট কাটবে না। তাই রপ্তানি ও প্রবাসি আয় বাড়ানোর ওপর জোর দেন তারা।