নিরাপদ পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিপণন সংশ্লিষ্ট আটটি প্রতিষ্ঠান আইএসও-২২০০০ সনদ পেয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ সনদ অর্জন করে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সনদ তুলে দেওয়া হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত ৮ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সেফ ট্রেডিং করপোরেশন, প্রতিভা ট্রেডিং, অভিজাত ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, মাসুদ অ্যাগ্রো প্রসেসিং ফুড প্রোডাক্টস, বানী’স ক্রিয়েশন, আয়ুর্বেদীয় ফার্মেসী (ঢাকা) এবং ছিপ ফুড বিডি ও অলওয়েলস মার্কেটিং।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের একশ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে এসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরে আরও আটটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে আইএসও-২২০০০ সনদ অর্জনে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ পর্যন্ত ২১টি প্রতিষ্ঠান আইএসও ২২০০০ সনদ অর্জন করেছে। এ উদ্যোগের প্রথম সাফল্য আসে ২০১৩ সালে। ওই বছর প্রথমবারের মতো এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় চট্টগ্রামের হিফজ অ্যাগ্রো ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ, নারায়ণগঞ্জের নুর ফুডস ও ধামরাইয়ের মার্কস আইসক্রিম ফ্যাক্টরি আইএসও-২২০০০ সনদ অর্জন করে।
এরপর ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের ওয়েল ফুডস, কুমিলার আরকু ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকার ইকো টেকনোলজিস, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রিনটেক অ্যাগ্রো এবং ২০১৭ সালে ঢাকার সেঞ্চুরি ফার্মস, নরসিংদীর এফ এম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভারের আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস, ঢাকার ইনাডা ইনকরপোরেশন, নারায়ণগঞ্জের কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ঢাকার রাজ কামাল এভারবেস্ট করপোরেশন আইএসও-২২০০০ সনদ অর্জন করে।
সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ২০২২-২৩ সালে কর্মপরিকল্পনায় আরও আটটি প্রতিষ্ঠানের খাদ্য নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইএসও-২২০০০ সনদ অর্জনে সহায়তার লক্ষ্য ঠিক করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশনের প্রযুক্তি উন্নয়ন উইং।
২০১৬ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে অ্যাগ্রো প্রসেসিং খাতকে উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ঘোষণা করায় এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপদ পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিপণন, দেশের বাজারে এ খাতের ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের রপ্তানি ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক মান সনদ আইএসও ২২০০০ অর্জনের উদ্যোগ নেয় এসএমই ফাউন্ডেশন।