সম্পদ মানের সঠিক মূল্যায়ন ছাড়াই জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূত করলে এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নগরীর বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রনজিত ঘোষ, বার্নাড হ্যাভেন উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংক জানায়, ব্যাংক একীভূত করতে সঠিক মূল্যায়ন এবং প্রক্রিয়ার বিচক্ষণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। খারাপ ব্যাংকগুলোকে অধিগ্রহণ করে যাতে ভালো ব্যাংকগুলোকে দুর্বল না করা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলোর সম্পদের মানের একটি মূল্যায়ন প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশে ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা দরকার। সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালারভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত করা উচিত বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
আরও বলা হয়, কোনো একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এবিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা দরকার। যাতে করে জড়িত ব্যাংকগুলো প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা পায়। আর এই ধরনের নির্দেশনা আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম মানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যেতে পারে। পাশাপাশি একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থার উপর নির্ভর করে বিকল্প একীভূতকরণ প্রক্রিয়া প্রদান করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগে মন্দাবস্থা তৈরি হয়েছে। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের উচ্চ হারসহ দুর্বল নিয়ন্ত্রণের কারণে এ খাত চাপের মুখে আছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আরও বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে আর্থিক সংস্কার ও মুদ্রার একক বিনিময় হার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি। মুদ্রার বিনিময় হারে অধিকতর নমনীয়তা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অর্থনীতির বৈচিত্র্য এবং অর্থনীতির মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে কাঠামোগত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ।