দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে আটকে থাকা ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ শতাধিক যাত্রী ও ১৮টি ট্রাক নিয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে গেছে। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিক পদ্মায় আস্তে আস্তে ফেরিটি ডুবে যায়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
ওই ফেরিটি রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
এ সময় ফেরিতে ১৮টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সব যানবাহনের সাথে কয়েক শতাধিক যাত্রীও নদীতে ডুবে যায়। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসে সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে আটটি ট্রাকসহ পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তবে নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। বাল্কহেডের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।