হবিগঞ্জে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে এক লাখ ভোটে পরাজিত করলেন আলোচিত তরুণ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
টানা দশ বছর সংসদ সদস্য ও পাঁচ বছর মেয়াদে মন্ত্রী পরিষদে থাকা এই নেতাকে পরাজিত করে সুমন আরও আলোচিত হলেন।
এদিকে, টানা তিনবারের প্রভাবশালী এমপি আব্দুল মজিদ খানকে অর্ধলাখ ভোটে পরাজিত করলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত তরুণ প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ।
রোববার (০৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন ভোটারের মধ্যে ১৭৭টি কেন্দ্রে ভোট দেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ জন। এরমধ্যে মধ্যে ব্যারিস্টার সুমন এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পেয়েছেন মাত্র ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।
প্রয়োগ হওয়া ভোটের মধ্যে দুই হাজার ৭৬৮টি বাতিল হয়। অন্য ছয় প্রার্থী পেয়েছেন বাকী দুই হাজার ২৭টি ভোট।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গত দুই নির্বাচনে এমপি হন। তিনি ও ব্যারিস্টার সুমন এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন।
তবে সুমন মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছেন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই তার জনপ্রিয়তা জেলাজুড়ে আলোচিত হয়।
হবিগঞ্জ-২ আসনে আব্দুল মজিদ খান ও ময়েজ উদ্দিন শরীফ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ময়েজ উদ্দিন শরীফ মনোনয়ন পেলে মজিদ খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ আসনে মোট ভোটের সংখ্যা তিন লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৪; প্রয়োগ হয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৬৯টি। নৌকায় ময়েজ উদ্দিন শরীফ ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মজিদ খানের ঈগল প্রতীকে পড়ে ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট।