ছবি সংগৃহীত
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কর্মরত অবস্থায় পিকআপভ্যানের ধাক্কায় এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কর্মকর্তার নাম জামাল উদ্দিন (৫৬)। তিনি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার গালা এলাকার জুরান আলীর ছেলে এবং গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই। দুর্ঘটনার পর ঘাতক পিকআপটি জব্দ এবং চালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক থেকে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে জামাল উদ্দিনের ডিউটি ছিল। সকাল ৭টার দিকে তিনি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) কার্যালয়ের সামনে উত্তরবঙ্গগামী সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিলেন। এসময় তিনি দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান আসতে দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় থামতে সংকেত দেন। কিন্তু মাছ বহনকারী ওই পিকআপ ভ্যানটি না থামিয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। এসময় পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। পরে সঙ্গে থাকা ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পর ঘাতক পিকআপভ্যানটি জব্দ এবং চালক মারুফ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। পরে পুলিশের তৎপরতায় প্রায় ঘন্টাখানেক পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, ১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন জামাল উদ্দিন। সর্বশেষ তিনি সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) হয়ে প্রায় মাসখানেক আগে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই এডমিন নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ‘জামাল উদ্দিনের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ঘাতক পিকআপভ্যান এবং চালককে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।