ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিউজ জার্নাল ২৪ :: News Journal 24

কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা :সেই ‘ওসি মিজানের’ যাবজ্জীবন

নিউজ জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা :সেই ‘ওসি মিজানের’ যাবজ্জীবন

ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া এক পুলিশ পরিদর্শককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ নাসের।

দণ্ডিত মিজানুর রহমান ঘটনার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ‘ওসি মিজান’ হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তাকে অভিযোগ ওঠার পর বরখাস্ত করা হয়েছিল। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় মিজানুর রহমানকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে সাজামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম জানিয়েছেন, কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় একই আইনের ৯ (৪)-খ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আদালত রায়ে বলেছেন, উভয় ধারায় দেয়া সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। এছাড়া গ্রেফতারের পর থেকে তার হাজতবাসের মেয়াদ সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’সলেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান মিজানুর রহমান। মেয়েটিকে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিজানুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে দু`টি মামলা দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি ওই হোটেলের কর্মচারী।

ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিনমাস পলাতক থাকা মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ এবং দণ্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল মামলার বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।

পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানিয়েছেন, মামলায় তিনজনকে আসামি করা হলেও দু’জনের বিচার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত আছে। শুধুমাত্র আসামি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন