মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলার ডুবে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও চার জন। নিহত ৮ জনের মধ্যে ২ শিশু, ৪ নারী ও ২ জন পুরুষ। আর এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জনকে।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালের রসকাঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- জীবিতি উদ্ধার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হ্যাপি (২৮), তাদের ছেলে সাকিব (৮), সাজিবুল (৪) ও জাহাঙ্গীরের শ্যালিকা পপি (২৩)। তাদের বাড়ি লতব্দি ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকায়। বাকিরা হলেন- ফারিহান (১০), মোকসেদা (৪২) ও রাকিব ১২। বাকি একজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কায়েস আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নের নারী-শিশুসহ ৪৬ জন ব্যক্তি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। সন্ধ্যায় পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চ শব্দে গান বাজাতে বাজাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাতে লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে আট জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বাকি চার জন নিখোঁজ রয়েছেন।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত আট জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও চার জন নিখোঁজ আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’