যানবাহন চলাচলের জন্য পরীামূলকভাবে খুলে দেওয়ার একদিন পর আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পটুয়াখালীর বহুল প্রতীক্ষিত লোহালিয়া সেতু। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সেতুর উভয় পাশের ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হলেও পরদিন শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে আবারও সেতুর দুপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৩০ জুন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ দিকে কিংবা আগস্টের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এমনটিই জানিয়েছেন পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
পটুয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে বাউফল, দশমিনা এবং গলাচিপা উপজেলাসহ রাঙ্গাবালী ও ভোলা জেলার কিছু অংশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে লোহালিয়া সেতু। বর্তমানে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিসহ সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুবেল বলেন, সেতুটি চালু হলে পটুয়াখালীর সঙ্গে লোহালিয়া, ভুড়িয়া ও কমলাপুর ইউনিয়ন যুক্ত হবে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বাজারে নিতে পারবেন। যোগাযোগে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
৫৭৬ দশমিক ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থ্যের এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০৭ কোটি টাকা। নৌ চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নদীর মাঝ অংশে সেতুতে কোনো পিলার স্থাপন করা হয়নি। এছাড়া সেতুর হরিজেন্টাল কিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ৭০ মিটার এবং ভার্টিক্যাল কিয়ারেন্স ১৩ দশমিক ৫০ মিটার। এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের অপোর অবসান হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. হাফিজুর রহমান বলেন, সেতু পারাপারে কোনো টোল দিতে হবে না। ফলে মানুষের পরিবহন ব্যয়ও বাড়বে না। উন্নয়নের ছোঁয়া এখন তৃণমূলেও পৌঁছে গেছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে সেতু পরিদর্শন করে আ স ম ফিরোজ বলেছেন, আমরা সবাই মিলে সেতুটির সর্বশেষ অবস্থা দেখেছি। সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত কি না তা আমরা পরিদর্শন করেছি। আমি ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করবো, যেন দ্রুত সেতুটি উদ্বোধন করা যায়।