ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা, গাজীপুর ও আশপাশের শিল্প এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। পথে পথে কোরবানির পশুর হাট, পশুবাহী ও ফলের গাড়ি থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গাড়ির সবচেয়ে বেশি চাপ রয়েছে।
মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা আছে। এসব কারখানা বিকেল থেকে পর্যায়ক্রমে ছুটি হচ্ছে। কারখানায় কাজ করা লাখ লাখ শ্রমিক ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হওয়ায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের বেশি সড়কে চলছে এলিভেটেড ফাইওভারসহ (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) বিআরটির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। প্রায় ১১ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। সড়কের মাঝখানের খোঁড়াখুঁড়িতে দুইপাশেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে চলাচলের লেন। এ কারণে সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেলে এসব এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যেন ভোগান্তি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে চালকেরা সচেতন থাকলে যানজট অনেকটা কমে যায়। মহাসড়কের পাশে যেসব পশুর হাট বসেছে, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।