৪৮টি গরু নিয়ে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার ডুবে গেছে। শনিবার (২৪ জুন) সকালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সূত্রকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ১৭টি গরু উদ্ধার হলেও বাকি ৩১টির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্র এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে ৪৮টি গরু নিয়ে ট্রলারটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ে। এসব গরু বিক্রি করতে যমুনা ও পদ্মা নদী দিয়ে ১৫ জন ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিরামপুরের সূত্রকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ব্যবসায়ীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ গরু ডুবে যায়।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন চৌহালী উপজেলার মুরাদপুরের নূরুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জানান, খামারিদের কাছ থেকে ৪৮টি গরু কিনে তারা ১৫ জন ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিলো। তার নিজের ছিল তিনটি গরু। নদীতে পানি বাড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। ১৭টি গরু উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো ডুবে গেছে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পাশে নদীর তীরে যায়। তিনি বলেন, ‘ট্রলারে রশি দিয়ে বেঁধে গরুগুলোকে নারায়ণগঞ্জে কোরবানি হাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ট্রলারডুবির সময় ১৭টি গরুর রশি কেটে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ওই গরুগুলোকে নিয়ে ব্যবসায়ীরা তীরে ভেড়েন।’
ফজলু নামের আরেক খামারি জানান, তার তিনটি গরু ছিল। তার মধ্যে একটি তীরে ওঠানো সম্ভব হলেও বাকি দুটির কোন খোঁজ নেই। আরেক খামারি জমির উদ্দিন জানান, তার আটটি গরুর একটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী আবদুলাহ জানান, তার একটি গরু উদ্ধার হয়েছে। তিনি চারটি গরু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলো।বাকি তিনটি ডুবে গেছে।
খালেক ব্যাপারী জানান, তার নয়টি গরুর মধ্যে দুটি উদ্ধার হলেও বাকিগুলো এখন পাওয়া যায়নি।
ট্রলার মালিক ফারুক জানান, নৌকাটির সামনের অংশ আগে ডুবে গেছে। ট্রলারের তলদেশে ফেটে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কেউ হতাহত হননি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিচে ছিদ্র হয়ে গরুসহ ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। ১৭টি গরু উদ্ধার হয়েছে। বাকি গরুগুলো উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।