নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দিনে-দুপুরে মুক্তি বর্মণ (১৬) নামে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে কাউছার (১৯) নামে বখাটে।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বারহাট্টার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে ধারালো দা দিয়ে ওই কিশোরীকে এলোপাতাড়ি কোপায় কাউছার। পরে মুক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরী প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত কাউছার একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
মুক্তি বর্মণের সহপাঠীরা জানায়, বেলা ২টার দিকে স্কুল থেকে মুক্তিসহ তারা একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে কাউছার এসে দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। তারা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকলে লোকজন এসে মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোণায় পাঠানো হয়।
মুক্তি বর্মণের ভাই লিটন বর্মণ জানান, তার বোনকে গুরুতর জখম অবস্থায় নেত্রকোণা সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা বলেন, খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। মরদেহ নেত্রকোণা হাসপাতালে আছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।