সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া এলাকায় পলাতক আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানির সদস্যরা। এসময় র্যাবের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলম সরদার। এ ঘটনায় ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, র্যাব সদস্যরা পাচপাড়া গ্রামে আসামি ধরতে গেলে ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সদস্যরা ভুয়া র্যাব বলে অভিযানকারী দলের সদস্যদের মারধর দিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে এবং আসামি ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে র্যাবের অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
এদিকে, রোববার (৯ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি জানায়, শনিবার (৮ এপ্রিল) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানির একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া এলাকায় যায়। ওই এলাকায় পলাতক আসামির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার সময় এক ব্যক্তি র্যাব সদস্যদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং স্থানীয় কিছু উদ্ধত লোক জড়ো করে। এসময় র্যাব সদস্যরা র্যাবের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় আইডিকার্ড প্রদর্শন করে। তারপরেও স্থানীয় কিছু দুস্কৃতিকারী ভুয়া র্যাব বলে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে দুস্কৃতিকারীদের কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এসময় দুস্কৃতিকারীরা র্যাব সদস্যদের মারতে উদ্যত হয়। ইতোমধ্যে র্যাবের টহল দল এলাকায় প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৬), মো. সোহাগ সরদার (২৮), মো. কবিরুল ইসলাম (৩৯), মো. আমিনুল ইসলাম (৩৭), মো. আফজাল খাঁ (৫৮), সোহান সরদার (১৯), শহিদুল ইসলাম বাবলু (৫৫), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও মো. আজগর আলীকে (১৮) আটক করেছে।
আটক দুস্কৃতিকারী এবং পলাতক আসামিদের ব্যাপারে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব-৬।