বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিনকে (৩৪) নিয়ে একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (৫৩) পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কল্পনার স্বামী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সঙ্গে নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী একই ইউনিয়ন পরিষদের সংরতি (৭, ৮, ৯) নারী আসনের মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। প্রতিনিয়ত মহিলা মেম্বারের বাড়িতে যাতায়াত করতেন ওই চেয়ারম্যান। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শহিদুল চেয়ারম্যান ও কল্পনা মেম্বার হঠাৎ এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে কল্পনা ইয়াসমিনের স্বামী রফিকুল জানতে পারেন, শহিদুল চেয়ারম্যান তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন।
রফিকুল ইসলাম বগুড়া বিসিএল প্রাইভেট কোম্পানিতে সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন। ২০০১ সালে কল্পনা ইয়াসমিনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার স্ত্রী নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার। তিন সন্তানের মধ্যে তাদের প্রথম সন্তান এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র, দ্বিতীয় সন্তান অষ্টম শ্রেণি এবং তৃতীয় সন্তান কেজিতে পড়ে।
রফিকুল বলেন, এ বিষয়ে শহিদুল চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়। তিনি বলেছেন, আমি কল্পনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেছি। এ বিষয় নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন শহিদুল চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, ৩টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন কিছু বলিনি। নিজের ভুল বুঝে স্ত্রী যদি পুনরায় ফিরে আসে এই অপেক্ষায় ছিলাম এবং এখনও আছি। এ জন্য স্ত্রীকে ফিরে পেতে মামলা করেছি।