ফাইল ছবি
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে মারা যান প্রবাসী আফসর। শুক্রবার (১০ মার্চ) তার মরদেহ পৌঁছে জন্মস্থান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামে কফিন খুলতেই অবাক হন স্বজনরা। কফিনের মরদেহটি আফসরের নয়, অন্য কারোর।
মৃত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামের জমসিদ আলীর বড় ছেলে আফসর মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আফসরের কফিনে থাকা মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রবাসী জালাল মিয়ার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারও মৃত্যু হয় গ্রিসে। মূলত কফিনের গায়ে সাঁটানো স্টিকার রদবদলের কারণে এ ঘটনা ঘটে।
আফসরের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আফসরের মৃত্যু হয় গ্রিসে। তার ভাই এমরান মিয়া মৃত্যুর চার দিন পর সেখান থেকে ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আফসর মিয়ার ভাগনে তোফায়েল আহমদ কামরান জানান, মামার মরদেহ নিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা বিমানবন্দরে যাই। সব প্রক্রিয়া শেষ করে সেখান থেকে রওনা দিয়ে রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় গ্রামে পৌঁছাই। এর মধ্যে তার জানাজার সময় ঘোষণা ও মরদেহ দাফনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু শনিবার সকালে কফিন খোলার পর দেখা যায় এটা মামার মরদেহ নয়।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকালে খবর দিলে পুলিশ এসে খোঁজখবর নিয়ে জানায় মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার শিলিনপুর গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে জালাল মিয়ার। তিনিও গ্রিসে মৃত্যুবরণ করেছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, মর্মান্তিত এ ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসি। অনেক চেষ্টা করে মরহুম জালাল উদ্দিনের ঠিকানা বের করে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে, এই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। দামোধরতপী গ্রামের আফসর মিয়ার মরদেহ এখনও আসেনি। সমস্যাটা হয়েছে গ্রিসে। আগামী ১৩ তারিখ তার মরদেহ দেশে আসার কথা রয়েছে।