ছবি সংগৃহীত
ব্যাপক অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম শহীদ রনজু ভোট পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে দুই উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের ফলাফল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
এদিকে নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো সেদিক থেকে নির্বাচনটি সফল হয়েছে বলে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, শুরুটা সুন্দর ছিল এবং শেষটাও চমৎকার। বুধবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে উপ-নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারের ভোটের শুরুতেও পরিবেশ সুন্দর ছিল, সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে সুন্দর ভোট হয়েছে। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, ইভিএমে ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। ভোট বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষে হয়েছে, সব কিছু গুছাচ্ছে দেখেছি। অপেক্ষমাণ কেউ না থাকায় ভোট নিতে এখানে দেরিও হবে না আর। ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৩৫ শতাংশের কম বেশি হতে পারে। চূড়ান্তভাবে পরে জানা যাবে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ১৪৫টি কেন্দ্রে শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কারণে নিদিষ্ট সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এই নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। ভোটে অনিয়ম করায় তা বন্ধ করা হয়।