ছবি সংগৃহীত
পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচটি মামলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগ এনে পুলিশ এসব মামলা করে। এসব মামলায় এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় এসব মামলা করে। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাতেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদরে বিএনপির এক, দেবীগঞ্জে বিএনপির এক, বোদায় বিএনপির এক, আটোয়ারীতে বিএনপির দুই এবং তেঁতুলিয়ায় জামায়াতের দুজন নেতা কর্মী রয়েছেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ আছর বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর জোত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে হরিপুর চন্দনপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপির জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।