
ছবি সংগৃহীত
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আব্দুর রশিদ আরেফিন (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিএনপির। তবে পুলিশ বলছে গুলিতে নয়, ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটার্কে মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা কারণে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কতজন মারা গেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা গেছেন। শুনেছি আরেকজন মারা গেছেন, তবে এখনো নিশ্চিত না।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, আজকে বিএনপির কর্মসূচি ছিল। স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আমাদের ফোর্স নিযুক্ত করা ছিল। তারা মিছিল-মিটিংয়ে লাঠিসোটা নিয়ে এসেছিল। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে আমরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় ভাঙচুর করার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন আমরা বাধ্য হয়ে রাবার বুলেট ছুঁড়ি। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে যিনি মারা গেছেন তিনি এ ঘটনায় মারা যাননি। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন পঞ্চগড় জেলা বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের দিকে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।