যাত্রীর চাপে দরজা বন্ধ না হওয়ায় আবারও বিঘ্নিত হয়েছে মেট্রোরেলের সেবা। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, ইফতারের আগে ঘরে ফেরার তাড়া থাকায় ওই সময়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীর ঢল ছিল। ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগ পোহান।
মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিকের ভাষ্য, যাত্রীদের বিশৃঙ্খলার কারণে ট্রেন বন্ধ হয়েছিল।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপোয় থাকা যাত্রীর ভিড় ছিল। কিছু সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফর্মের দরজা আটকে দাঁড়ান। তাদের কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের ট্রেনের এবং প্ল্যাটফর্মের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে, দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না। এ কারণেই মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।’
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছেন অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তারা সরেননি। রমজানের কারণে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না।
তিনি বলেন, রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সচিবালয় স্টেশনে সমস্যার কারণে বাকি ১৬ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থেমে থাকা ট্রেনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন, ১০-২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ট্রেনে বা স্টেশনে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।
ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক র্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালেন্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যারা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফিরত দেওয়া হয়।