খলিল গোস্ত বিতানের মাংস বিক্রির সব রেকর্ড ভেঙেছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) ছুটির দিনে মাংস বিক্রি ছাড়িয়েছে কোটি টাকা।
গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান।
খলিলুর রহমান বলেন, রোজায় মানুষ যাতে গরুর মাংস খেতে পারে, সে জন্য দামে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ছাড় দিয়ে মাংস তখনই বিক্রি সম্ভব হয়, যখন বেচাকেনা বেশি হয়। কারণ, ছাড়ে মাংস বিক্রি করলে লাভ কম হয়। তবে রমজানে মূল্যছাড় দেওয়ার পর মাংস কিনতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, ফলে বেড়েছে বেচাবিক্রিও।
তিনি বলেন, বাজারের তুলনায় আগেও কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করেছি। গতকাল বিক্রি বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০টি গরু জবাই দিয়েছিলাম। এক কোটি টাকার ওপর বেচাকেনা হয়েছে।
তবে আজ ৩৫টির বেশি গরু জবাই দেবেন না জানিয়েছেন এই মাংস বিক্রেতা। তিনি বলেন, রোজার দিনে স্টাফরা (কর্মী) সবাই কান্ত হয়ে যান। ৪০ কর্মী একনাগাড়ে কাজ করছেন। অন্য সময়ে তাঁরা মোটামুটি ৫০ থেকে ৬০টি গরু কাটাকাটি করতে পারেন। কিন্তু রোজার কারণে তাঁদের ওপর চাপ হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আজ থেকে বিক্রি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
একজন ক্রেতা একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি মাংস কিনতে পারেন। লাইনে দাঁড়ানো সবাই যেন মাংস নিয়ে ফিরতে পারেন, সেই চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন তিনি কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। এবারের রোজায় এই ব্যবসায়ী ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংসের পাশাপাশি ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংসও বিক্রি করছেন৷
এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদপ্তর গতকাল বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।