
ফাইল ছবি
গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে গত বছরের ২৩ অক্টোবর নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। এবার সারাদেশে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের তালিকা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু ছাত্রলীগ নয়, নিষিদ্ধ সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
এ বিষয়ে থানায় থানায় নির্দেশনাও পৌঁছে গেছে। মূলত পাঁচটি বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। পুলিশ বলছে, হয়রানি বা মামলার জন্য নয়, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম ও গতিবিধি নজরদারিতে রাখতেই তালিকা হচ্ছে।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। থানায় থানায় পাঠানো চিঠিতে ছাত্রলীগের নেতার পূর্ণ নাম ও পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিবরণ, জিডি বা মামলা থাকলে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে।