ফাইল ছবি
দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপাচার্য (ভিসি) হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বললেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০, ৪০০, ৫০০ শিক্ষক আছেন। সবাই কেন ভিসি হতে চান, আমি বুঝি না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চান না।’ তিনি নিজের বিষয়ে বলেন, ‘আমি তো ভিসি হতে চাইনি।’
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় উপদেষ্টা বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি, যানবাহন নিয়েও কথা বলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে এখন বিনিয়োগের গতি শ্লথ। বেসরকারি খাতের শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যাংকের মালিকেরা নিরুদ্দেশ, যদিও বেসরকারি খাত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এত বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিনিয়োগে এ ধরনের শ্লথগতি থাকা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এত দিন প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। তিনি বিবিএসকে জানিয়েছেন, ব্যুরো যে পরিসংখ্যান দেবে, তিনি তাতেই সই করে দেবেন। কী পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে, সেদিকে তিনি তাকাবেন না। যদিও তিনি বলেন, বিবিএসের সক্ষমতার ঘাটতি আছে। সে জন্য তিনি তিরস্কার করছেন না। উন্নয়নশীল সব দেশেই পরিসংখ্যান বিভাগের একই অবস্থা। ভারতের পরিসংখ্যান সংস্থার ভালো সক্ষমতা ছিল; কিন্তু ইদানীং তাদের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
সারা দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কত গাড়ি আছে, তার হিসাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই গাড়িগুলো কী অবস্থায় আছে, তাও জানাতে হবে। উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে প্রতিবেদন উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করবেন।