উত্তরের শস্য ভান্ডার দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ বেড়েছে। পৃথকের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আশাতীত ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন পেঁপে চাষে। ফলের পুষ্টি ও সবজির চাহিদা মেটাতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে এগিয়ে আসছেন অনেকেই।
দিনাজপুরের দিগন্ত জুড়ে চোখে পড়ছে সবুজ পেঁপে বাগান। গাছে গাছে ঝুলছে পেঁপে। শাহী, রাচি, সিওটু, রেড লেডিসহ বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। দাম ভালো পাওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁপে চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষক। সাথী ফসল হিসেবেও পেঁপে চাষ হচ্ছে।
সদর উপজেলার বড়ইল এলাকার কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ফলনও পেয়েছেন ভালো। পাইকাররা এসে বাগান থেকেই পেঁপে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মূল্যও এবার ভালো পাচ্ছেন পেঁপের।
সদর উপজেলার কর্নাই এলাকায় এক বিঘা জমিতে এমনি পেঁপে বাগান করেছেন কৃষক মেহেদি হাসান। তিনি সাথী ফসল হিসেবে পেঁপে চাষ করে এবার বেশ লাভবান বলে জানিয়েছেন।
ফলের পুষ্টি ও সবজির চাহিদা মেটাতে এই পেঁপে। একবার পেঁপে গাছ লাগানোর পর সেই গাছ থেকে কমপে দুই বছর পেঁপের ফলন পাচ্ছেন কৃষক। ক্ষেত থেকে কাঁচা এবং পাকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। কৃষক এতে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন। সদর, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পাবর্তীপুর, খানসামা, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, ঘোড়াঘাটসহ জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কমবেশি চাষ হচ্ছে পেঁপে। লাভজনক ফসল হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। পেঁপে চাষে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।
জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ পেঁপে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।